জনমত নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে শাশুড়িকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলী ওরফে সজল খানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় গুনেইট কাউন্টির শেরিফ সূত্রে জানা যায়, জর্জিয়াস্থ লরেন্সভিল সিটির মোহাম্মদ আলী ওরফে সজল খান দীর্ঘদিন ধরে তার শাশুড়িকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী। তার নামে ৪টি যৌন ও ১টি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামালার প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর সজলকে গ্রেপ্তারের পর জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অদ্যাবদি তিনি কারাগারেই আছেন।
সজলের স্ত্রী নাজমুর আখতার নাজ স্থানীয় গণমাধ্যমেকে জানান, গত ১ সেপ্টেবর সে আমার মাকে যৌন হয়রানি করেন। ওই সময়ে আমি বাসায় ছিলাম না। গত ৫ সেপ্টেম্বর আমি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই।
জর্জিয়া আটলান্টা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাশুড়িকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ওরফে সজল খান জর্জিয়া বিএনপি ও জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
তবে তার এহেন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জর্জিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রহমান আজাদ সংবাদকর্মীদের জানান, তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বহুদিন আগের। এ ধরনের ঘটনা জানার পরই অর্থাৎ গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে জর্জিয়া বিএনপি থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তার বহিস্কার নোটিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রকাশ করেছি।
জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেন নি। যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে তবে কারও সঙ্গে কথা হয়নি।
মোহাম্মদ আলী ওরফে সজল খানের দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় আইনজীবীরা।